আজ আমরা খবরের কাগজ পত্র এবং পুরাতন বই খাতায় মোড়ানো খাদ্যদ্রব্যের ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করবো!
তো চলুন শুরু করি,বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে খবরের কাগজ দিয়ে খাদ্যদ্রব্য মোড়ানো খুবই স্বাভাবিক এবং কমন একটা বিষয়। বিশেষ করে দোকানের ভাজাপোড়া (বুট পেয়াজী, পুরি, সিঙাড়া, ঝালমুড়ি,চপ ইত্যাদি) কেনার সময় দোকানদার আমাদের খবরের কাগজ বা খাতার পৃষ্ঠার তৈরি ঠোঙায় খাবার দেয়। আমরা তা বাসায় এনে খুব উপভোগ করে খাই। খবরের কাগজে মোড়ানো খাবারর খান না, এমন লোকের সংখ্যা তো এ শহরে হাতে গোনা কয়েকজন৷ সেই কবে থেকে এটাই তো চল হয়ে আসছে ৷ দোকানি একটা খবরের কাগজে তৈরি ঠোঙায় দু পিস চপ ভরে ক্রেতার হাতে ধরিয়ে দিলেন, এ ছবি তো চিরন্তন ৷ কিন্তু এটিই নাকি মারাত্মক হতে পারে ৷ ঘটে যেতে পারে শারীরিক ক্ষতিও ৷ আমরা অনেকেই জানিনা এটা কতটা অস্বাস্থ্যকর!
খবরের কাগজে মোড়ানো বা ঠোঙায় মোড়ানো খাবারের মাধ্যমে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ যা শরীরে বিষাক্ত প্রভাব ফেলতে পারে। এই কালিতে ব্যবহৃত (সলভেন্ট) দ্রাবক শরীরের জন্য কার্সিনোজেনিকও হতে পারে। ২০১৬ সালে FSSAI দ্বারা জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে,
It is unhealthy to keep food in the newspaper “সংবাদপত্রে খাবার রাখা খুবই অস্বাস্থ্যকর”।
খবরের কাগজে যেসব ক্ষতি পদার্থ থাকে
খবরের কাগজের কালি বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন লেড, আরিল হাইড্রোকার্বন রিসেপ্টার (AHR or aryl hydrocarbon receptor) ন্যাফথাইলামাইন (Naphthylamine) ইত্যাদি দ্বারা তৈরি হয়। এসকল পদার্থ মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব পদার্থের কারণে মানবদেহে নিউরোটক্সিটি (স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এমন টক্সিন), কার্ডিওভাসকুলার (হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলির সাথে সম্পর্কিত) রোগ, কিডনিজনিত রোগ, ক্যান্সার, লিভার failure, ফুসফুসের ক্ষতি, হাড় দুর্বল হওয়া এমনকি কোন একসময় অতিরিক্ত সংক্রমণের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
প্রতিকার বা প্রতিরোধ
কি ভাবছেন পাঠক ভাই? খুব দেরি হয়ে গিয়েছে! আরে না। মনে রাখবেন, বেটার লেট দ্যান নেভার। এতদিন যা হয়েছে, হয়েছে। এখন থেকে সচেতন হন। প্রতিজ্ঞা করুন, কোনও হোটেল, দোকান থেকে খবরের কাগজে মুড়ে দেওয়া কোনো খাবার কিনে আনবেন না। বিক্রেতা দিতে চাইলে প্রতিবাদ কববেন। তাঁকে ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বোঝাবেন। অন্য ক্রেতাদেরও বুঝিয়ে দিবেন। তাহলেই ধীরে ধীরে সচেতনতা গড়ে উঠবে। একদিন ঠিকই বন্ধ হয়ে যাবে আমাদের এই খবরের কাগজে খাওয়ার বদভ্যাস।খোলা খাবার কেনার সময় এ জাতীয় ঠোঙা নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বাসা থেকে নিজেদের বক্স বা পাত্র নিয়ে আসতে হবে। দোকানদারকেও এ ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে। সরকার এ ব্যাপারে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমাদেরকেই সচেতন হতে হবে।
আজকের মত এখানেই সমাপ্তি!!🖋️ আল্লাহ হাফেজ🥰
Thanks writing article.
উত্তরমুছুন