Ajker Kolom || আজকের কলম
Help Team HT

একটি সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা বাতিল হয়ে যায়

আসসালামু আলাইকুম! আশাকরি আপনারা সকলে অনেক ভালো আছেন। আমাদের এই হেল্প টীম এইচ,টি ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন!

আজকের ব্লগ টিউটোরিয়ালে আমি আপনাদের জানাবো, কত দিন সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায়? সিমের মালিকানা বাতিলের বিষয়টি নিয়ে আজ কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে এখনই শুরু করে দেওয়া যাক।

আমাদের বাংলাদেশের কান্ট্রি কোড +৮৮০ ঠিক সেভাবেই! বাংলাদেশের সিম এর নাম্বার শুরু হয় ০১ দ্বারা। এই ০১ এর সাথে আরো নয়টি ডিজিট যুক্ত করে ১১ ভিজিটের একটি সংখ্যাকে মোবাইল নাম্বার হিসেবে প্রদান করা হয়। সিম কোম্পানিগুলো প্রতি অপারেটর এর জন্য আলাদা নাম্বার কোড বরাদ্দ করে, যেমনঃ টেলিটক ০১৫ | গ্রামীণফোন ০১৭ ও ০১৩ | রবি ০১৮ | বাংলালিংক ০১৯ ও ০১৪ | এবং এয়ারটেল ০১৬ নাম্বার সিরিজ ব্যবহার করে থাকে। প্রথম দফায় প্রদত্ত ১০লক্ষ নাম্বার শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে {বাংলালিংক ০১৪} ও {গ্রামীণফোন০১৩} সিমের একাধিক নাম্বার সিরিজ রয়েছে।

অপারেটর কতৃক বরাদ্দকৃত কোনো সিমকার্ড কেনার পর মোবাইলে ব্যবহার করলে উক্ত সিমকার্ড একটিভ বা সচল সিমকার্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সিম কেনার পর যদি ফোনে ব্যবহার করা না হয় বা ব্যবহার না করে খুলে ফেলে রাখা হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত সিমকে বন্ধ সিম হিসেবে ধরা হয়। ঠিক একইভাবে সিমকার্ড টি যদি একটানা নির্দিষ্ট সংখ্যক দিন বন্ধ থাকে তবে উক্ত সিমকে পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরা হয়। সিম পরিত্যাক্ত ঘোষণার কিছু সময়ের মধ্যেই সিমের মালিকানা বাতিল হয়ে যায়। অর্থাৎ সিম নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অব্যবহৃত ফেলে রাখলে সেক্ষেত্রে তার মালিকানা বাতিল হয়ে যাবে।
মোবাইল অপারেটর এর ক্ষেত্রে বিটিআরসি এর নিয়ম অনুসারে ৪৫০দিন বা ১৫ মাস পর অব্যবহৃত সিম পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর মধ্যেও উক্ত সিম একটিভ করা না হলে তা পুরোপুরি পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরা হয়। এতে করে সিম অপারেটর চাইলে উক্ত নাম্বার অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে পারবে। সেক্ষেত্রে আপনার কাছ থেকে সিমের মালিকানা চলে যাবে।
এবার জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন অপারেটর, অর্থাৎ রবি, গ্রামীণফোন, টেলিটক, এয়ারটেল, বাংলালিংক সিম কতদিন বন্ধ থাকলে সিমের মালিকানা হারাতে পারেন। সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

অব্যবহৃত এয়ারটেল বা রবি সিম কতদিন পর বন্ধ হয়?

এয়ারটেল রবি সিমকার্ড একই কোম্পানির আওতাধীন থাকার ফলে উভয় সিমের ক্ষেত্রে বন্ধের নিয়ম একই। রবি বা এয়ারটেল সিম যদি ৪৫০দিন একটানা বন্ধ থাকে তবে উক্ত এয়ারটেল বা রবি সিম পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
কোনো সিম এর একাউন্ট একটিভ করার মাধ্যমে উক্ত সিম চালু করে সিমে রিচার্জ করাকে বুঝানো হচ্ছে। উল্লেখ্য যে সিমের মালিকানা চলে যাওয়ার বিষয়টি এয়ারটেল বা রবি গ্রাহককে জানাতে তা বাধ্যগত নয়, তাই এই বিষয়ে একজন গ্রাহকেরই নিজ থেকে হিসাব রাখতে হবে।

যাইহোক, যদি আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিমটি সক্রিয় করতে ব্যর্থ হন তবে আপনি NID এবং সিম কেনার সময় জমা দেওয়া কাগজপত্র সহ Airtel বা Robi Customer Care-এর সাথে যোগাযোগ করে সিমটি পুনরায় সক্রিয় করার চেষ্টা করতে পারেন।

অব‍্যবহৃত গ্রামীণ সিম কতদিন পর বন্ধ হয়ে যায়?

৪৫০দিন একটানা অব্যবহৃত গ্রামীণফোন সিম বন্ধ হয়ে যায় ও গ্রামীণফোন চাইলে উক্ত সিম পুনরায় বিক্রি করতে পারে অন্য কোনো গ্রাহকের কাছে। সিমের ইনেকটিভিটি এর মেয়াদ ৪৫০দিন পার হওয়া সময়ের মধ্যে গ্রামীণ সিম চালু করা না হলে উক্ত সিমের মালিকানা হারাতে হতে পারে।

অব‍্যবহৃত বাংলালিংক সিম কতদিন পর বন্ধ হয়?

বিটিআরসি এর নিয়ম অনুসারে বাংলালিংক সিম একটানা ৪৫০দিন অব্যবহৃত থাকার পর তা পরিত্যক্ত হিসেবে বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর উক্ত সিম অন্য কারও কাছে বিক্রি করে দিতে পারে বাংলালিংক।

অব‍্যবহৃত টেলিটক সিম কতদিন পর বন্ধ হয়?

টেলিটক যেহেতু সরকার প্রদত্ত সেবা, তাই এটি নিঃসন্দেহে বিটিআরসি কতৃক প্রদত্ত নিয়ম অনুসরণ করে। কোনো সিম যদি একটানা ৪৫০ দিন বা গড় হিসেবে ১৫মাসের জন্য বন্ধ থাকে তবে উক্ত সিমটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় টেলিটক কতৃপক্ষ। এমনকি তারা সিমটি অন্য কারও কাছে বিক্রি করে দিতে পারে।
মোট কথা হচ্ছে, বিটিআরসি এর নিয়ম অনুযায়ী একটানা ৪৫০দিন যদি কোনো সিম ব্যবহার করা না হয় তাহলে অপারেটর চাইলে ঐ সিম অন্যের কাছে বিক্রি করে দিতে পারবে। একটি সিম ৪৫০ দিনের জন্য অব্যবহৃত থাকার পরে, আপনি সেই সিমের মালিকানা ধরে রাখার জন্য অতিরিক্ত সময় নাও পেতে পারেন।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিমের মালিকানা ধরে রাখতে সিমটি চালু না করা হলে সিমের মালিক সিমের মালিকানা হারাতে পারেন। সিমের মালিকানা হারানোর পর সিম অপারেটররা সিম পুনরায় বিক্রি করতে পারবে।

তো ভাই/বন্ধুরা আশা করি পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম পোস্ট সহ ফ্রি ইন্টারনেট অফার পেতে প্রতিদিন দেখা হবে পরবর্তী কোনো টিউটোরিয়ালে। সে পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত আমাদের জানান

নবীনতর পূর্বতন