Help Team HT

E-Sports Details | ই-স্পোর্টস কি?

ই-স্পোর্টস কি ? এটা আসলে কি?

ই-স্পোর্টস ক্রিকেট/ফুটবলের মতই একধরনের খেলা তবে পার্থক্য হল এটা অনলাইনে হয় এবং এগুলো ভিডিও গেমস। এখানেও টিম থাকে, লিডার থাকে, কোচ থাকে, প্ল্যান থাকে, স্ট্র‍্যাটেজি থাকে এবং দর্শক থাকে। ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, বেডমিন্টন, কাবাডি, বিস্কুট দৌড়, ষাড়ের লড়াই, মুরগীর লড়াই যেমন আলাদা আলাদা খেলার নাম, তেমনি DOTA, CS GO, Valorant, PUBG, Call of Duty, League of Legends, Street ফিঘতের -ও কিছু খেলার নাম যেগুলো কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোন ব্যবহার করে খেলতে হয়। আর এই গেমগুলো অনলাইনে প্রতিযোগিতার মতো করেও খেলা যায়। এই প্রতিযোগিতা গুলো ক্রিকেট ফুটবলের মত গ্লোবাল স্টেজেও হয়ে থাকে। 

ই-স্পোর্টস কি জুয়া খেলা?

ক্রিকেট ফুটবলে যেমন ট্রফি থাকে, প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার থাকে ঠিক তেমনি ভাবে ই-স্পোর্টস ইভেন্টেও ট্রফি এবং অন্যান্য পুরস্কার থাকে। সেটা টাকা কিংবা মেডেল যেকোনোটাই হতে পারে। তারমানে, ই-স্পোর্টস যদি জুয়া হয় তাহলে ক্রিকেট ফুটবলও জুয়া।

ই-স্পোর্টসের ভবিষ্যত কি ?

ই-স্পোর্টস ইতিমধ্যে বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রিতে পরিনত হয়েছে। আর যা ধারনা করা হচ্ছে তাতে এই ইন্ডাস্ট্রি কেবলি গ্রো করবে। সেই সাথে প্রচুর কোম্পানি স্পনসর করছে, ইভেন্ট গুলো ন্যাশনাল টিভিতে ব্রডকাস্ট হচ্ছে এবং ওয়ার্ড ওয়াইড বিশাল বিশাল টুর্নামেন্ট হচ্ছে। উন্নত দেশ গুলোতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও অফিশিয়াল ভাবে ই-স্পোর্টস ইভেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে।


ই-স্পোর্টস খেলে কি সাকিব আল হাসান হওয়া যাবে?

ধারে কাছেতো অবশ্যই যাওয়া যাবে। Johan “N0tail” Sundstein কে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ধনি ই-স্পোর্টস স্টার বলা হয়। সে একজন ড্যানিস DOTA প্লেয়ার। তার সকল টুর্নামেন্টের আর্নিং একসাথে প্রায় ৬৯ কোটি টাকা।


তাহলে ই-স্পোর্টস খেললে বাংলাদেশে জেলে দেওয়া হয় কেন?

ভাই রে, অন্ধের দেশে আয়না বিক্রি করতে আসলে ফলাফল এরচেয়ে বেটার আর কি আশা করতে পারেন? <

ভিডিও গেমস তো একটা নেশা, এটা মানুষকে নষ্ট করে ফেলে, ঠিক না?

অতিমাত্রায় ভুল!! কারন নেশা যেকোনো কিছুরই হতে পারে। বই পড়াও একধনের নেশা। কেউ যদি নাওয়া, খাওয়া, ফ্যামিলি, সমাজ ভুলে শুধু বই পড়তে থাকে তাহলে তাকে কেউই নরমাল বলবে না।


পাবজি গেমটা নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?

এটা অন্যান্য ভিডিও গেমসের মতোই একটি গেম। কিন্তু এটা মোবাইলে খেলা যাওয়ার কারনে একটু বেশি রুট লেভেলে পৌছে গেছে। এবং সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন থাকার ফলে কেউ কেউ অনিয়ন্ত্রিত ভাবে এই গেমে আসক্ত হয়ে পরছে যা তাদের জন্য মোটেই কল্যানকর না। তবে হ্যা, কেউ যদি কেবলই বিনোদনের উদ্দেশ্যে না খেলে তার দক্ষতাকে প্রোফেশনালি কাজে লাগায় তখন ভিন্ন কথা।

পাবজি কি ব্যান করা উচিত?

সঠিক রিসার্চে যদি প্রমানিত হয় যে পাবজি আসক্তির কারনে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা হচ্ছে না, বা অতিরিক্ত সময় নষ্ট করছে তাহলে আমি ব্যান করার পক্ষেই। তবে হ্যা, ব্যান করার চেয়েও ভালো পদ্ধতি হচ্ছে বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রণ করা, সঠিক বয়সের আগে মোবাইল ফোন না দেওয়া এবং ফ্যামিলি থেকে সঠিক গাইডলাইন দেওয়া।


eSports এর জনপ্রিয়তা

২০১৬ থেকে এর দর্শকসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬-১৭ সালে সচরাচর দর্শকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯.৩ %, ২০১৭ সালে অনিয়মিত দর্শক ছিল ১৯২ মিলিয়ন এবং নিয়মিত দর্শকের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪৩ মিলিয়ন, যা মোট দাঁড়ায় ৩৩৫ মিলিয়ন। ২০১৮ সালে দর্শকসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৭.৮ শতাংশ। ২২২ মিলিয়ন অনিয়মিত এবং ১৭৩ মিলিয়ন নিয়মিত দর্শকদের নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯৫ মিলিয়নে। ২০১৯ সালে সর্বমোট দর্শকের সংখ্যা ছিল ৪৫৪ মিলিয়ন, বৃদ্ধির হার ছিল ১৫ শতাংশ। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ সাল এর পরিসর ৬৪৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।


মোটকথা, গ্লোবাল ট্রেন্ড আমাদেরকে বেছে বেছেই ফলো করতে হবে। গ্লোবালি কিছু একটা হচ্ছে বলেই যে আমাদের দেশেও সেরকমই হবে বা হতে হবে তেমনটা একদমি না। আমাদের দেশে কিছু জিনিস ডেভেলপ হতে সময় লাগে। কিন্তু তাই বলে হুট করে কাউকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়াটা মোটেই কাম্য নয়। ই-স্পোর্টস বিষয়ে আমাদের জানার অনেক কমতি আছে বলেই আজ এই ঘটনা ঘটেছে। তারা কেউ জানেই না যে এই গেম খেলেও বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে যাওয়া যায়।


এই Esports Billion Billion ডলারের Market সৃষ্টি করছে এইগুলা বুঝতে বহির্বিশ্বের খোঁজখবর রাখতে হবে। #প্রযুক্তি কখনই খারাপ না,এর ভালো ব্যবহার নিশ্চিত করুন!! ধারণা বদলে যাবে! © jp0201

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত আমাদের জানান

নবীনতর পূর্বতন